চলমান লকডাউনের অযুহাতে ছাতকে পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সাথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ফোরস্ট্রোকের চালকরা। এ নিয়ে রাস্তায় -রাস্তায় চালক ও যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে। লকডাউনে সাধারণ যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সকাল থেকে সিএনজি- অটোরিকশা দেদারছেই চলছে এখানে যাত্রী পরিবহন। এতে স্বাস্থ্য বিধি ও মানা হচ্ছেনা এখানে।
করোনা সংক্রমণের হটস্পট ছাতকের মূল সংক্রমণটাই এই যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে হচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। স্থানীয় সায়াদ মিয়া, আব্দুর নুর, তোফায়েল আহমদ, কামরুল ইসলামসহ বেশ ক জন সি এন জি যাত্রী জানান, গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতকের নিয়মিত ভাড়া ৩০টাকার স্থলে লকডাউনের অযুহাতে আদায় করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা। স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই যাত্রীবাহী যান চলাচল করছে। এই সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী ও পরিবহন করা হচ্ছে। একইভাবে উপজেলার সব এলাকায় যাত্রীদের প্রায় জিম্মি করে ডাবল ভাড়া আদায় করা করছে চালকরা। এনিয়ে যাত্রী ও চালকদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। একাধিক চালক জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০% ভাড়া অতিরিক্ত নিয়ে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অতরিক্তি ভাড়া দিয়েও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন রীতিমতো নৈরাজ্য।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, লকডাউনে সাধারণ যাত্রী পরিবহনের কোনো নির্দেশনা নেই। এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেবে।
দেশ যুগান্তর/আরজে