জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক স্ত্রীর হাত কেটে দিয়েছে স্বপন নামে এক সাবেক পাষণ্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে।
ভূক্তভোগী পরিবার ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের আব্দুল কাদের এর মেয়ে কাজলী বেগমের সহিত একই ইউনিয়নের চর আদ্রা গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে স্বপন মিয়ার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রেজি: কাবিনমূলে ৮ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর তাদের ঔরসে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটি জন্মের কিছুদিন পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বপন মিয়া। এ নিয়ে কয়েকদফা শালিস বৈঠক করেন এলাকার মাতাব্বরগণ।
তবুও থামেনি স্বপন মিয়ার নির্যাতন। অবশেষে কাজলী বেগম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজেই তার স্বামী স্বপন মিয়াকে তালাক দেন। বিগত দুই বছর যাবৎ তারা তালাকের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বিচ্ছিন্ন।
জানা যায়, পরিবারের চাপে স্বপন মিয়া ৭ মাস পূর্বে মাদারগঞ্জ জাঙ্গালিয়া গ্রামের দুলাল সিপাই এর মেয়ে জাহিদা আক্তার ডালিয়া কে দ্বিতীয় বিবাহ করে। কিন্তু স্বপন মিয়া সাবেক স্ত্রী কাজলী বেগমকে ভুলতে না পেরে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে কাজলীকে গ্রহণ করতে চায়। কাজলী বেগম অস্বীকৃতি জানালে স্বপন মিয়া রাগে ক্ষোভে গত রোববার (২৫ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আকস্মিকভাবে কুপিয়ে তার হাত কেটে দেয়।
পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় কাজলী বেগমকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনায় কাজলী বেগমের পিতা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশ যুগান্তর/আরজে