সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি

বিশ্বনাথে খেলনার‘বেহালা’য় হাছু মিয়ার জীবন সংগ্রাম

আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ, সিলেট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ৩০৭ বার দেখা হয়েছে

পাশেই বিক্রির জন্যে সাজিয়ে রাখা শ’খানেক ছোট-বড় বেহালা’র সারি। গানের ফাঁকে ফাঁকে একটি-দুটি করে বিক্রিও করেন তিনি। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন সত্তোর্ধ বৃদ্ধ হাছু মিয়া।

উস্কো খুস্কো এক চুল মাথায় টুপি। মুখভর্তি ধবধবে সাদা দাঁড়ি। মলিন পোষাকে ফুটপাতে বসে সারাদিন সুরের বিনুনি আঁকেন তিনি। আপনভোলা মনে নিজের তৈরী বিশেষ কায়দার, খেলনার ‘বেহালা’র সুরের ছন্দে ধরেন হরেক রকম গান।

তিনি সুনামগঞ্জের বিশম্ভপুর থানার চলিতাডোবা গ্রামের বাসিন্দা। গেল কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার একটি  ভাড়া বাসায় থাকেন। রাতভর তৈরী করেন খেলনার বেহালা। দইয়ের পরিত্যাক্ত ঘটি ও নারকেলের টালির সাথে বাঁশের কঞ্চি, তার, সুতো, মলাটের কাগজ, পশুর চামড়া জুড়ে দিয়ে প্রস্তুত করেন এগুলো। রঙ দেয়ার পর ঠিক করে রাখেন সুর ও তাল। পরে বিক্রির জন্যে ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি ছুটেন হাটে-হাটে।

তার সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এক সময় কৃষি কাজেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। নিজের জমি-জিরাত না থাকায় করতে হতো বর্গা চাষ। এতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পেরে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে বেহালার কায়দায় নিজে নিজেই বিশেষ ধরণের খেলনার বাধ্যযন্ত্র তৈরী শুরু করেন। একে একে তৈরী করেন পাঁচ রকমের বেহালা। উরস-উৎসব ও বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করতেন সব’চে বেশি। বর্তমানে করোনার কারণে এসব বন্ধ থাকায় বেচা-বিকিও নেই তেমন। তবুও কোনমতে চলছে তাঁর জীবন-জীবিকা।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ছোট-বড় খেলনার বেহালায় খরচ হয় ২০-৫০টাকা পর্যন্ত। রাতভর কঠোর পরিশ্রমে সর্বোচ্চ ১০-১৫টা তৈরী করা যায়। এরপর একে একে সুরের উপযোগী করে তুলতে হয়। প্রতিটা বিক্রি করা যায় ৫০-১০০টাকায়। দৈনিক ৫০০-১০০০টাকার বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোন মতে চলছে সংসার। এখন বয়েস হয়েছে, এ পরিশ্রমও শরীরে সহেনা। তবুও এটাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি।

দেশ যুগান্তর/আরজে

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102