লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জামে মসজিদ নির্মান কাজে বাঁধা ও অন্য স্থানে নামাজ পড়তে না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসীসহ মুসুল্লিরা। শুক্রবার দুপুরে (১২ মার্চ) উপজেলার দক্ষিন চরবংশি ইউপির মোল্লারহাট বাজার জামে মসজিদে ও ভেরিবাঁধের রাস্তার উপর এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জামে মসজিদের সভাপতি আবদুর রশিদ মোল্লা জানান, প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো এ মসজিদে বাজারে প্রায় ৩’শ ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী মসজিদের নামাজ পড়েন। মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় গত ১৪ দিন ধরে তা ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তুতি নেয় কমিটি। মসজিদের পাশেই ইউপি কার্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রের নীচতলায় ফাঁকা জায়গায় কয়েক মাসের জন্য নামাজ আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে ৯ মার্চ ইউএনও’র কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন মসজিদ সভাপতি।
কিন্তু তাতে বাঁধা দিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি। কে বা কারা আশ্রয়কেন্দ্রে বসতঘর তুলছে, এ বলে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা ও নামাজ আদায়ে বন্ধের উপক্রম করা হয়েছে।
মোল্লারহাট বাজার ব্যবসায়ী ও আ’লীগ নেতা কুদ্দুস মাষ্টার ও হাসিম গোলদার জানান, মুসুল্লিদের নামাজ পড়ার স্বার্থে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে একটি জামে মসজিদ নির্মানের কাজে হাত দেয়। অস্থায়ীভাবে কিছুদিনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের নীচে ফাঁকা জায়গায় নামাজ পড়বে মুসুল্লিরা। এতে বাঁধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকি সহ মারপিটের পরিকল্পনা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক থেকে বহিস্কৃত আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি। দ্রুত জামে মসজিদটি নির্মাণ ও ওই স্থানে নামাজ আদায় করার দাবীতে আজ আমরা এ কর্মসূচী দিতে বাধ্য হয়েছি।
এবিষয়ে দক্ষিন চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ইউপি কার্যালয়ের নীচতলায় ফাঁকা জায়গায় নামাজ আদায়ের বিষয়ে কেও আমাকে জানায়নি। উল্টো সংবাদ পেয়েছি, মোহন হুজুর নামের এক ব্যাক্তি ওই জায়গায় ঘর তোলার উদ্যোগ নেয়ায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, ইউপি পরিষদ ভবনের নীচ তলায় ঘর তোলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগের বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।