শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি

খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটি (পোল) মেরামতের দায়িত্ব কার!

এস চাঙমা সত্যজিৎ, খাগড়াছড়ি :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৫২ বার দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়র্ডের জমিন ধন কার্বারী পাড়ায় বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটি গোড়ায় ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে খুঁটিটি রেখেছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটি ধরে রাখার জন্য স্থানীয় মানুষের দ্বারা বাঁশের খুঁটি তিনটা দিয়ে দেয়। কখন কোন সময়ে এই বাঁশের খুঁটিগুলো ভেঙ্গে পড়ে যায় তার নিশ্চয়তা কেউ বলতে পারছে না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগকে ভাঙ্গা খুঁটির ব্যাপারে জানালে বিদ্যুৎ বিভাগ নাকি তাদের কাছ থেকে ১৫/২০ হাজর টাকা (১টি খুঁটির জন্য) দাবি করে। প্রবীন মুরুব্বী প্রভাবশালী কারবারী শান্তি রঞ্জন খীসা বলেন, আমার কাছ থেকেও ১৫/২০ হাজার টাকা চেয়েছে। টাকা দিয়ে দিলে হয়তো এতদিন খুঁটিটি পাল্টে দিত। এলাকাবাসীরা টাকা দিতে না পারায় ভাঙ্গা খুঁটিটি বাঁশের ঠেচ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটিটি মেরামত করবে কে? সরকার, না বিদ্যুৎ বিভাগ, না জনগণ? বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিতে ভাঙ্গা খুঁটির মেরমত করা যাচ্ছে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা ।

বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারিত ট্রান্সফরমার বরাদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে অন্য ট্রান্সফরমার (কম কেভি জাতীয় ট্রান্সফরমার) বসিয়ে সুবিধাভোগী গ্রাহকদের বিদ্যুতের আলোয় জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে উক্ত এলাকার বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগীদের মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে ভূক্তে হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রান্সফরমার (কম কেভি) না হওয়ায় ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে থাকে। ট্রান্সফরমারও ঘনঘন বিকল হয়ে পড়ে। এতে সুবিধাভোগী গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে ভোগ করতে হয়। এ সব টুকটাক বিকল হলেও গ্রহকরা টাকা না দিলে সচল করে দেয় না বিদ্যুৎ বিভাগ। মানে টাকা ছাড়াই বিদ্যুতের কোন কাজ হবে না। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ করতে গেলে টাকা দিতে হয়। বিদ্যুতের খুঁটির (পোল) পরিবহনের খরচ দিতে হয়। বিদ্যুতের লাইন টানানোর সময় টাকা দিতে হয়। যার কাছ থেকে টাকা বেশি পাবে তার বা সেই লোকের বাড়ির দিকে চার লাইন তার সংযোগ করে দেয়। একটি এলাকায় জরীপ করে যতটা পোল বা খুঁটি থাকবে লাগানোর সময় ততটা খুঁটি বা পোল থাকবে ন। কথিত আছে যেখানে ২০/২৫ টা পোল বা খুঁটি থাকবে সেখান থেকে ৫/৭ টা পোল অন্যত্র ১৫/২০ হাজার (প্রতি পোল) টাকায় বিক্রি করে দেয়। বাদবাকী পোল বা খুঁটিগুলো বসিয়ে দেয়। মোট কথা হলো বিদ্যুৎ বিভাগে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। টাকার জোয়ারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন। টাকায় সব কিছু এখন মানুষের ধারণা।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

তবুও পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের জমিন ধন কার্বারী পাড়ায় বিদ্যুৎ লাইনের ভাঙ্গা খুঁটি বা পোল মেরামত বা পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। সকলের প্রশ্ন? মেরামতের দায়িত্ব কার? জনগণের?

না বিদ্যুৎ বিভাগের?? নাকি সরকারের??? এ প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের এই ভাঙ্গা খুঁটি পরিবর্তনের জন্য এলাকাবাসীরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছেন।।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102