জামালপুরের মেলান্দহে আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের নেতা মেয়ে কেলেঙ্কারিতে জনতার হাতে আটক। অতঃপর এলাকার নেতাদের নয়- ছয়ে মুক্তির ঘটনা ঘটেছে। ৯ আগষ্ট মধ্যরাতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৬নং আদ্রা ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মো: আরিফুল ইসলাম সুমন আদ্রা ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডজন খানেক যুবলীগের নেতারা বলেন- সুমন শুধু এই মেয়ে নিয়ে নয় এর রকম একাধিক মেয়ের সাথে প্রতিনিয়ত অপকর্ম ও কেলেঙ্কারি করছে।তার মোবাইল চেক করলে শত শত প্রমান পাওয়া যাবে। এই মেয়ের সাবেক ৩য়/ ৪র্থ বয় ফেন্ড ন্যায় সুমনও রাতের আধারে নির্জনে দেখা করতে গেলে মেয়ের বাবা চোর চোর বলে চিৎকার করলে সুমন বাচাঁর চেষ্টায় দৌড দেয় এবং এলাকা বাসী তাকে আটক করে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে গ্রাম্য মাতাব্বর হইবর, রশিদ মহুরী,আমানুল্লাহ,ও চান বিচার করে হাত পা ধরে মাফ চাওয়ায়ে দিয়ে সুমন কে ছেড়ে দেয়। সুমন বাড়ী না পৌছতেই অটো চালক গেদার মেয়ে ( R) সুমনকে ফোন দিয়ে সরি বলে এবং নিরাপদে বাড়ী পৌছে ফোন দিতে বলে। এর আগেই R কয়েকটি ছেলের সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত হলে তার মা শাক দিয়ে মাছ ডেকেছে। এই মেয়েও যেমন অনেকটি ছেলেকে নাকে রশি দিয়ে ঘুডিয় প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তেমনি সুমনও অনেক মেয়ের সংসার ভেঙ্গেছে তার স্বামী অর্থ পরকিয়া করে হাতিয়ে নিয়ে ঐ মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে। সে এখন বেকার তবুও বউ ছেলে নিয়ে কিভাবে সচ্ছলভাবে রাজকীয় অবস্থায় চলছে। তাও এখন প্রশ্ন উঠেছে।বিগত আদ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে প্রায় লক্ষ টাকা ইউনিয়নের অন্য মেয়ের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় তা এখনো পরিশোধ করিনি বরং হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সুমন এলাকায় বেয়াদব সুমন নামেও পরিচিত। তার বাপ নাংলা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য রুপসিহাটা গ্রামের মরহুম মজনু মেম্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী ও আদ্রা ইউনিয়ম পরিষদের সাবেক মহিলা সদস্য আঙ্গুরি মেম্বারের ছেলে। আঙ্গুরি মেম্বার নিজের বাপের ভিটায় অবস্থান করায় সুমনের আবাসস্থল মার কাছে অর্থ্যাৎ আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা গ্রামে মানুষ হয় বিধায় নানার দেশে বীরের বেশ চলাফেরা করে। তার সাবেক ও চলমান ১২/১৪ জন গার্লফেন্ডের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন- সুমন ক্ষমতা,ক্যাডারগিরি ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের জালে ফেলে প্রতারনা ও ইজ্জত নষ্ট করে দিয়েছে। তার কতিপয় গার্লস ফেন্ডের মধ্যে রারেয়া, শিরিনা,রুবিনা, রোকেয়া,লকি সামছুন্নাহার প্রমুখ এবং কি তার প্রেমে জালে শিকার করে বিয়ে করেন প্রেমিকা জাহানারাকে যার ঘরে একটা ছেলে সন্তানও আছে।এমনি ঘটনা নিত্য দিনের। তার লাগামহীন অপর্কমের কারণে দলীয় ভাবমুর্তি নষ্ট করে চলেছে।সুমনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী সহ থানায় ১০/১২ টি মামলা হয়েছিল। এই যুবলীগ নেতা সুমন এমন কোন অপরাধ নাই যে করেনা। কোথাও উপজেলা যুবলীগ নেতা, কোথাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা, কোথাও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি, কোথাও সেক্রেটারি, কোথাও আনসার, কোথাও পুলিশ,ডিবি, কোথাও সেনা সদস্য হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। তার সম্পর্কে তদন্ত করলে আরো অনেক কিছু জানা যাবে।