জাতির পিতার জীবন আদর্শ থেকে তরুণদের শিক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর। রবিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আহ্বান জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যখন কিছু মানুষ ভয় পেতে শুরু করে এবং তারা যখন বুঝে গেল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি জাতির পিতার আদর্শকে সামনে রেখে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হতে যাচ্ছে তখনই জাতির পিতা এবং তাঁর আদর্শকে এই বাংলাদেশ থেকে বিলীন করে দেয়ার জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ জাতির পিতার পরিবারের অনেককেই হত্যা করে, যেখানে নারী, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও বৃদ্ধও ছিল। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসেছিল তারা ১৯৭৫ এর পরেও জাতির পিতার আদর্শকে জীবিত রেখেছে এবং সেখান থেকেই ধীরে ধীরে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে আমরা একটি উন্নত বিশ্বে পরিণত করতে সক্ষম হচ্ছি।
আমাদের এই ধারাবাহিকতা আজকের তরুণ প্রজন্ম যারা রাজনীতি করতে আগ্রহী বা রাজনীতি করছেন কিংবা আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে চান তাঁরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে নিষ্ঠার সাথে বাংলার সম্মান রাখতে পারে এমনটাই দাবী সকলের। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে বাংলাদেশকে একটি শক্ত অর্থনীতির ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতাম। কিন্তু দেরিতে হলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনে মাননীয় উপাচার্যের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।এ আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফ উদ্দিন,সিনিয়র সিস্টেম এ্যানালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো:আশরাফুজ্জামান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফারজানা আক্তার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ ।
শেখ মুজিবসহ ১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।