আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,রহিমন্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।বাড়ি তো নয় পাখির বাসা -ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। জসীম উদ্দিনের আসমানীকে দেখতে রসুলপুরে যেতে হলেও আয়রন বিবিকে দেখতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা গ্রামে যেতে হবে।তার জীবন যাপন যেন জসীম উদ্দিনের আসমানীরই বর্তমান প্রতিচ্ছবি।অত্র গ্রামের মৃত হাছেন আলীর স্ত্রী আয়রন বিবি( ৮০) থাকেন একটি খুপরি ঘরে।বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।শরীরের চামড়া মিশে গেছে হাড়ের সাথে।জীবন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে চলছে তার জীবন। সরেজমিনে জানা যায়, প্রায় ৫০বৎসর পূর্বে নাবালিকা দুটি কন্যা সন্তান রেখে হাছেন আলী পরলোক গমন করেন।স্বামী হারানোর পর থেকে কখনো অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে আবার কখনো অন্যের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবন ধারণ করে আসছে।এমনকি গ্রাম বাসী সকলের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে বিয়ে দিয়েছে কন্যাদেরকে।তাদেরও সাংসারিক অবস্হা তেমন ভাল নই।নেই তার কোন ছেলে সন্তান, ভিটে মাটি ও থাকার ঘর।বৃষ্টির সময় ঘরের চাল দিয়ে পড়ে পানি।দিনের আলো ফুরিয়ে রাত হলেই ভয় আর শঙ্কায় নির্ঘুম কাটে তার রাত।পোকা মাকড়ের সাথে জরাজীর্ণ ঘরে তার বসবাস।তিন বেলা জোটেটা খাবার । জীর্ণ শরীরে ছিন্ন কাপড়ে চলে তার বছরের পর বছর ।আয়রন বিবির সাথে কথা হলে তিনি বলেন,প্রায় ৫০ বৎসর আগে পোনাইর বাপ মইরা গেছে।তারপর থেকে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি।আমি ভাঙ্গাচোরা খুপরি ঘরে থাকি।মেম্বর চেয়ারম্যানরে অনেক বার বলছি তারা কেউ কথা কয়না। আমি শেখের বেটি শেখ হাসিনার কাছে একটি ঘর চাই।
এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে ইউপি সদস্য আলম মিয়া বলেন,আমার সাথে এ বিষয়ে কোন কথা হয় নাই।পরবর্তী ঘর আসলে তাকে দেওয়া হবে।
কামরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মনসুর আলী খানের মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ করেন তার ভাতিজা সাহেদ আনোয়ার।তিনি বলেন তার চাচা চোখের অপারেশন করায় আপাতত একমাস কথা বলতে পারবেনা।তিনি ঢাকা অ্যাপেলো হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে।