জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদীতে পারিবারিক পিকনিকের ইঞ্জিন চালিত নৌকা ইট বালি সিমেন্ট বাহী দুই নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ নৌকা ডুবির ২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর ব্রীজের দক্ষিণ থেকে দাউনিয়ায় বড়শীতে আটকে থাকা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মহিষাবাদুরিয়া গ্রামের আবুবক্কর এর একমাত্র মেয়ে ভাটারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার সকালে ১৫/১৬ জন বিভিন্ন বয়সী লোকজন নিয়ে আয়শা আক্তারের খালা বাড়ী থেকে পারিবারিক নৌকা ভ্রমণে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারির টিক্কারচরে ভ্রমণ শেষে বাড়ী ফেরার সময় রাত ৮ টার দিকে ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর ব্রীজের দক্ষিণপার্শ্বে এলে পিকনিকের নৌকা ও মালবাহী নৌকার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি নৌকাই ডুবে যায়। নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা সাতরে তীরে পৌছলেও আয়শা আক্তার নিখোঁজ হয়। রাত থেকে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি কেউ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম এর নেতৃতে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরী দল ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করেও শিক্ষাথীকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে চলে যান। পরে স্থানীয়রা মালবাহী ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করে। এর পর বিকেল ৪ টার দিকে নৌকা ডুবির ১০০ গজ দূরে দাউনিয়ায় বড়শীতে শিক্ষার্থীর পরনের কাপড় আটকে গেলে বড়শী থেকে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী পুরুষ উৎসুক জনতার ভীড় জমে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত শিক্ষার্থীর লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক বলেন, শুনেছি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।