সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পল্লীতে ৪র্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
পরে আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে সিলেট কোর্টে পাঠানো হয় তাকে। গ্রেফতার কিশোরের নাম ইমন মিয়া (১৫)। সে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বাড়ই গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে ও পূর্ব শাসরাম গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শাসরাম গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী ঘটনার দিন গেল বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে খেলার উদ্দেশ্যে পাশর্বর্তী পূর্ব শাসরাম তার সহপাঠির বাড়ীতে যায়।
খোশগল্পের এক পর্যায়ে বান্ধবী পুকুর ঘাটে গেলে, সে তার মায়ের সাথে কথা বলছিল। তখন পাশাপাশি বাড়িতে বসবাসকারী বখাটে কিশোর ইমন তাকে ডেকে নিয়ে যায়। গ্রামের সেলিম মিয়ার রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে চম্পট দেয় সে। দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে অচেতন পড়ে রয় ওই ছাত্রী।
দীর্ঘ সময় বাড়িতে তার অনুপস্থিতি দেখে, অনেক খোঁজাখুজি করে ওই রান্না ঘরেই অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন ভিকটিমের দাদি। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নাম্বার-১৫, তাং-২৫.০৮.২০২১ইং)
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।