জামালপুর শহরে বিকালে প্রকাশ্যে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীকে জনগনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।

শনিবার ( ২৮ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জামালপুর পৌর শহরের তমালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম সাবিনা ইয়াসমিন (২১)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার জোকাকুঁড়া গ্রামের সালেহ আহম্মেদের মেয়ে।

তিনি জামালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জামালপুর শহরের পাঁচ রাস্তা এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। আটক স্বামী মো.শাহীন আলম (২১)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গুরু চরন নাই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের সঙ্গে তার নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাদে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল। আড়াই মাস ঘর সংসার পর তালাক হয় । নারী জামালপুর শহরে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন।

আহত সাবিনার বান্ধবী সুমি আক্তার বলেন , বিকেলে পরীক্ষা শেষে ইজিবাইকে করে শহরের তমালতলা কেনাকাটা করার জন্য যাচ্ছি। এ সময় ওই যুবকও ইজিবাইকে উঠে বসেন। পরে আমার তমালতলায় নেমে পরি। কাজ শেষ করে বাসায় ফিরার পথে ওই যুবক আবার ইজিবাইকে উঠে বসে। তখন ওই যুবককে ইজিবাইক থেকে নামতে বলার সাথে সাথে যুবকটি ইজিবাইকের মধ্যেই নারীকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ছুরিকাঘাতের এক পর্যায়ে ওই নারী রাস্তায় পড়ে যান।

তারপরও অ্যালোপাথারি ছুরিকাঘাত করছিলেন যুবকটি। পরে স্থানীয় লোকজন যুবকটিকে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে আটক করে।স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জামালপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জানান, ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে ৪ থেকে ৫টি ছুরিকাঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, ওই নারীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহতের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। ঘাতককে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজরুম/জেআর