সিলেটের বিশ্বনাথে আবদুল করিম (৪৭) নামে এক কৃষকের উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রাম এলাকায়।
হামলায় গুরুতর আহত কৃষক আবদুল করিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে নিজের আমন ধানের ক্ষেত দেখতে গ্রামের পাশ্ববর্তী জমিতে যান কৃষক আবদুল করিম। এসময় একই গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর ছেলে মনির উদ্দিন আবদুল করিমের বিরুদ্ধে তার (মনির) আমন ধানের চারা নষ্ট করার অভিযোগ তুলে বাকবিতন্ডা জড়ান। পরে তিনি মনিরের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে নালিশ করে আসেন।
আহত কৃষক আবদুল করিম বলেন, ‘নালিশ দেওয়ায় আমার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন মনির উদ্দিন ও তার লোকজন। বিকেলে আমি বাড়ি থেকে দু’জন মেহমানকে সাথে পীরের বাজারে যাওয়ার জন্যে রওয়ানা দেই।
এসময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিজেদের বাড়ির কাছে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মনির উদ্দিন, তার ভাই কমর উদ্দিন, নুর উদ্দিন, মনিরের দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন, আক্তার উদ্দিন ও একই গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলীর ছেলে আলাউদ্দিন তাদের বাড়ির কাছাকাছি যেতেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়।
এসময় তারা আমার সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও একটি টর্চ লাইট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ’
আবদুল করিম আরও জানান, ‘স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আমাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমি বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি আছি। হামলায় আমার ফেটে যাওয়া মাথায় ৯টি সেলাই দিয়েছেন ডাক্তাররা।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মনির উদ্দিনের ছেলে জাকির বলেন, ‘সড়কের পাশে আমাদের আমন ধানের জমি। আবদুল করিম আমাদের ধানের চারা নষ্ট করায় আমার পিতা প্রতিবাদ করেন।
এর জের ধরে বিকেলে তার সাথে আমাদের ঝগড়াঝাটি হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শোনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।