সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোনাইমুড়ি ৩ বছর যৌন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থী নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রা’ণ গেল বৃদ্ধের আদর্শ জাতি গঠনে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে, জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া রায়পুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সাবেক সাংসদ খায়ের ভূঁইয়া’র মতবিনিময় কড়ৈতলি বাজারে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলাচলের সড়কের উপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ রায়পুরে পুরান বেড়ী ইসলামী যুব সংঘ’র ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রায়পুরে কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি লিঃ মৃত্যুর ১৩ মাস পর গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার অভিযোগ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ধানের চারা ও নগদ টাকা পেয়ে খুশি লক্ষ্মীপুরের বন্যার্ত কৃষকেরা চরপাতা ফোরামের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যের নির্দশন বাঁশের সাঁকো

নিয়ামুল ইসলাম, ধুনট, বগুড়া :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১
  • ৭৫৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের নির্দশন বাঁশের সাঁকো। যা আজকে গ্রাম অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়েছে যাচ্ছে । সাঁকো শব্দর অর্থ হলো পোল বা সেতু। সাঁকো হারিয়ে যাওয়া বাংলার এক স্মৃতি। সত্তর দশকে এমন কোন গ্রাম ছিলো না যেখানে বাঁশের সাঁকো ছিলো না। প্রতিটি গ্রামে সাত আটটি করে বাঁশের সাঁকো ছিলো বর্ষার মৌসুমে। খালে, বিলে, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার মাধ্যম ছিলো নৌকা এবং বাঁশের সাঁকো। খুব সহজে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো ছিলো ভালো মাধ্যম। বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে গেলে গ্রামের ছোট বড় সম্মিলিতভাবে বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো তৈরি করতো। সেই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতো বিভিন্ন পেশার মানুষ এমন কি ছোট ছোট বাচ্চারাও। তারা প্রতিনিয়ত সাঁকো ওপর দিয়ে স্কুল যেতে দুষ্টমি করে সাঁকো থেকে লাফ দিতো, পা পিছলে পানিতে পড়ে যেতো। সাহস জোগাতে একজন আরেক জনকে বলতো, দেখ এটা তো বাঁশের সাঁকো পুলসিরাতে তো চুলের সাঁকো পার হতে হবে, তা আরো কঠিন। আজ আর সাঁকো নেই, কালের চাহিদা মতো তা পাকা রাস্তা আর ব্রিজে পরিণত হয়েছে, কিন্তু সেই স্মৃতি গুলো আজও অম্লান হয়ে আছে, যা শৈশবকে মনে করে দেয়।

বাঁশের সাঁকো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলেও প্রতিনিয়ত থেকেই যায় ঝুঁকিপূর্ণ। এমন চিত্র দেখা যায় বগুড়া জেলার ধুনট পৌর এলাকায়। সেই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষই যাতায়াত করেন। জানা গেছে যে, নিজ উদ্যোগেই তারা সহজে বাজারে যাতায়াতের জন্য সাঁকোটি তৈরি করে।

কালের বিবর্তনে বাঁশের সাঁকো হারিয়ে গেলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় ডিজিটাল যুগে সাঁকোর পরিবর্তে পাকা ব্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে অনেক জায়গায়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করে দিয়েছে সহজ থেকে সহজতর। এভাবে বাস্তবায়ন হতে থাকলে গ্রাম-গঞ্জের কিছু এলাকায় ছোট -খাটো বাঁশের সাঁকো থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে মানুষের যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম হবে পাকা ব্রিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
Don`t copy text!
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102
Don`t copy text!