অতি তারাতাড়ি প্রবাসীদের করোনা টেস্টের জন্য বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত সোমবার বিকেলে মাওয়া হাইওয়ের উপর দাড়িয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে লাইবে তিনি এ কথা বলেন ভেরিফাই আইডিত আপলোড করেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন- ‘আপনারা হয়তো একটা নিউজ ফলো করছেন যে, ৬ ঘন্টার মধ্যে করোনা টেস্ট না করে কেউ দুবাই যেতে পারবেন না। এর জন্য বিমানবন্দরে একটা র্যাপিড পিসিআর ল্যাব দরকার। এই ল্যাব না থাকার কারণে ৭ হাজার প্রবাসী দুবাই যেতে পারছেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুবাই যেতে না পারলে তাদের চাকরি থাকবে না
‘ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশ যেখানে বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে। তারা বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করে বিমানে উঠতে পারেন। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি সাব বলেন এক মাসের আগে বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসানো সম্ভব না।’
তিনি বলেন- ‘আমার কথা হলো, আমরা যখন বিশ্ব ব্যাংকে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানাতে পারছি, সেখানে বিমানবন্দরে একটা র্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসাতে পারছি না কেনও আমার মনে হয় এর চেয়ে দূর্ভাগ্য আর হতে পারে না।
আমার প্রশ্ন হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কি জানতেন না বিশ্বে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে আমাদের বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর প্রয়োজন। আজকে দুবাই, পরবর্তীতে অন্যান্য দেশও বলবে র্যাপিড টেস্ট না করলে আমরা আমাদের দেশে আসতে দেব না। তখন আমরা কি করব? আমাদেরতো এমন সক্ষমতা নেই যে প্রবাসে না গেলেও চলবে। আমাদেরতো প্রবাসীদের টাকা ছাড়া চলাই সম্ভব না।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আজকে যে সাত হাজার প্রবাসী দুবাই যেতে পারবে না, তারাই কিন্তু পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন তাদের খাওয়াবে কে পরিবারের ভরণপোষণ কে দিবে।