জামালপুরের মেলান্দহে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ কে ষড়যন্তের জালে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৬ নং আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা গ্রামে। সাম্প্রতিক অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: আবু হানিফ কে নিয়ে বিভিন্ন মহলে কুৎসাহ রটানো হচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবে একজন পরিত্যক্তা ( তালাকপ্রাপ্তা)মেয়ে অত্র ওয়ার্ডের সাবেক ইউ,পি সদস্য মোঃ আলতাফুর রহমানের ছোট মেয়ে মোছাঃ পারভীন আক্তার, মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের যত্ন প্রকল্পের মাঠকর্মী ( ২৩) কে দিয়ে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে । আলতাফুরের সাথে আবু হানিফের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের আলোচনা আসলে সে বিভ্রান্তিকর কথা বলে বিয়ে ভাঙ্গানোসহ নানা রকম অপপ্রচার করে থাকে । পরবর্তী এক কুচক্রী মহলের প্রলোভনে নিজের মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা প্রেমের নাটক সাজিয়ে আবু হানিফের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। আবু হানিফের বাড়ীতে অবস্থান করে মিডিয়ার সামনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে দলীয় ও সামাজিক ভাবে হেনস্থ করছে বলে আবু হানিফ অভিযোগ করেছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুধী- মাতাব্বর জানান- আলতাফুর মেম্বারের মেয়ে কয়েক বছর আগে আলতাফুর রহমানের ভাই হাফিজুর রহমানের ছেলে এমদাদুলের সাথে সম্পর্কের জেরে বিবাহ বন্ধনের জন্য মেয়ে বিষপান করে। এইঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে পরের দিনই এমদাদুলের অন্য এবং পারভীনকে গুনারিতলায় প্রভাসী ছেলের কাছে বিয়ে দেয়। সংসার জীবন ১ বছর পার হতে না হতেই স্বামীর সংসার করতে না রাজি হয়ে তালাক নিয়ে পিতার সংসারে ফিরে আসে। এটা প্রায় ৪ বছর আগের কথা। আমরা এখন শুনলাম হানিফের সাথে মেয়ের ৯ মাসের সম্পর্ক। পারভীনকে হানিফ বিবাহের শর্ত তালাক করান। অথচ ৪ বছর আগে তালাক হয় আর এখন ৯ মাস রানিং সম্পর্ক এটার মধ্য বুঝা যায় যে মেয়ে ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে এবং আবু হানিফ কে ফাঁসানো হচ্ছে।
আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জানান- আবু হানিফের উপর আনিত অভিযোগ আমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি তদন্ত কমিটির দ্বারায় তদন্ত করিয়েছি। তদন্তে মেয়ের দেওয়া মোবাইল নাম্বারগুলোর রেজিষ্ট্রেশন পরিক্ষা করে দেখা যায় যে, তার সাথে আবু হানিফের কোন সমপৃক্ততা নেই। আবু হানিফের উপর আনিত অভিযোগ মেয়ে একটা প্রমানও দিতে পারে নি যেমন ( ছবি,কলরেকর্ড,দেখাশোনা স্বাক্ষী ইত্যাদি) আলতাফ হোসেন বলেন হানিফ দোষী প্রমানিত হলে শাস্থি হবে আর দোষী প্রমাণিত না হলে যারা এই ঘটনা ঘটাইয়াছে তাদেরও কঠিন বিচার হবে।
এই উপলক্ষে আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ফজলুল করিম ফরহাদ বলেন – মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতায় ছেলে ও মেয়ের কল লিষ্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় তাদের মধ্যে গত ৩ মাসে মাত্র ২৫ সেকেন্ড কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে , আবু হানিফ আমার আত্মীয় দেখে পার পাবেনা। বিষয়টি তদন্ত চলছে তদন্ত পুর্বক যে অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হবে তাকে শাস্থি গ্রহন করতেই হবে।যদি হানিফ দোষী না হয় তবে যে বা যাহারা এই অপপ্রচার ও ঘৃন্য কাজ করাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।