কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের শীর্ষ মানবপাচারকারী বাঘ শামশু ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং সেবনকারী ৭ পিস ইয়াবা,১টি মোটরসাইকেল, ২টি মোবাইল নিয়ে হেলাল ও ছৈয়দ আলী অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উত্তর শিলখালী বড় কবরস্থানের পাশে এলজিডি রোড থেকে শীর্ষ মানবপাচারকারী বাঘ শামশুর ছেলে হেলাল উদ্দিন দীর্ঘ দিন পর ইয়াবা এবং বাইকসহ তার অপর সহযোগী মানবপাচারকারী ছৈয়দ আলী ইয়াবা সহ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের হাতে আটক হয়।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উত্তর শিলখালী বড় কবরস্থানের পাশে এলজিডি রোড থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে বাঘ শামশুর ছেলে হেলাল উদ্দিন ও অপর সহযোগী ছৈয়দ আলীর থেকে ৭ পিস ইয়াবা, ১ টি মোটরসাইকেল, ২ টি মোবাইল সহ হাতে নাতে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, শীর্ষ দুই মানবপাচার ও মাদকব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র গুরুতর আহত ঘটনায় মৃত জাফর আলমের ছেলে আহত সলিম উল্লাহ বাদী হয়ে শামশুদ্দীন প্রকাশ বাঘ শামশুর ছেলে হেলাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়। টেকনাফ থানার মামলা নং-২২, জিআর মামলা নং-৪০৩।
মামলার আসামীরা হচ্ছে, উত্তর শীলখালী এলাকার শামশুদ্দীন আহমদ প্রকাশ বাঘ শামশুর ছেলে হেলাল উদ্দিন, মৃত আবু বকরের ছেলে শামশুদ্দীন আহমেদ প্রকাশ বাঘ শামশু, তার ভাই মো.আলম, শামশুদ্দীন আহমেদ প্রকাশ বাঘ সামশু স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মেম্বারসহ আরো আছে। শামশুদ্দীন আহমেদ প্রকাশ বাঘ সামশু মানবপাচারসহ বিভিন্ন মামলার আসামী।
শামশুদ্দীন আহমেদ প্রকাশ বাঘ শামশুর বিরুদ্ধে মানবপাচার মামলা গুলো হচ্ছে, টেকনাফ থানার জিআর-৫৮৩/১১, কক্সবাজার সদর মডেল থানার জিআর-৯৯৫/২০১৪, টেকনাফ থানার জিআর-২১৬/১৩, রামু থানার জিআর-২৬২/১৪, কক্সবাজার সদর থানার জি আর-৪১/১৫, টেকনাফ থানা মামলা নং- ১৯/১৪। এসব মানবপাচার মামলা,টেকনাফ থানার অপহরণ মামলা নং ২৩/১৪।