সিলেটের বিশ্বনাথে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদরাসা ছাত্রী অপহরণের একদিন পর পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে তাকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে (১৩ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলার বড়কাপন গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও তাকে অপহরণের অভিযোগে ফখরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফখরুল উপজেলার মজলিস ভোগশাইল গ্রামের তুরন মিয়ার ছেলে। পরে অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি অপহরণ মামলা (নাম্বার-০৭, তারিখ ১৩.০৯.২১ইং) দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের শিমুলতলা মহিলা মাদরাসার ওই শিক্ষার্থী মাদরাসায় যাবার পথে গত(১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে অভিযুক্ত ফখরুল।
নিয়ে যায় তার ফুফুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে।
এ দিকে বিকেল পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। এক পর্যায়ে থানা পুলিশকে অবহিত করলে আজ দুপুরে এসআই অফতাবুজ্জামান রিগ্যান জগন্নাথপুরে অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ফখরুল ও ভিকটিম পরস্পর তালতো ভাই-বোন। ফখরুলের বড় ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল ভিকটিমের বড় বোনের।
এর সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন মন দেয়া নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাবুজ্জামান রিগ্যান বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ওসিসিতে এবং গ্রেপ্তার যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’