জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একতা অয়েল মিলে।এতে সেবা নিতে আসা ইউনিয়নের হাজারো মানুষ দূভোর্গ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত তার ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একতা অয়েল মিলে বসে পরিষদের কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য কাজের জন্য সেবা গ্রহীতারা ইউপি পরিষদে আসলেও চেয়ারম্যানের কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় অনেকেই সেবা না পেয়ে চাপা ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।আবার অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদে বাড়তি ভাড়া গুনে ২-৩ কিলোমিটার দূরে ডোয়াইল বাজারে চেয়ারম্যানের একতা অয়েল মিলে এসে সেবা নিতে যায়।ফলে সেবা গ্রহীতাদের আর্থিক খরচ ও দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।পরিষদের তথ্য উদ্যোক্ততা ইমরান ও চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন মনগড়া ভাবে তার একতা অয়েল মিলে বসে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতারা।তার বিভিন্ন অনিয়মে বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প কাগজ কলমে বাস্তবায়ন দেখানো হলেও কার্যত সুফল পায়নি বলে জানান সাধারণ জনগণ।পঞ্চাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানান, জন্ম নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদে যাই।পর পর ৫দিন পরিষদে গিয়েও চেয়ারম্যান স্যারকে পায়নি। ৫ দিনে ২৫০ টাকা গাড়ী ভাড়া খরচ করেছি। পরবর্তীতে ডোয়াইল বাজারে চেয়ারম্যানের অয়েল মিলে এসে ২শ টাকা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছি।
এ ব্যাপারে ডোয়াইল ইউপি পরিষদের তথ্য উদ্যোক্ততা ইমরান জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরিষদে কাজ না করে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তেলের মিলে কাজ করছি।
এ বিষয়ে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন বলেন, পরিষদে সমস্যা তাই আমার একতা অয়ের মিলে বসে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।