জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্ত্বা আইনে মামলায় ফাসানোর হুমকিদাতা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মরত সাংবাদিকগণ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে।
এরো ধারাবাহিকতায় চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জামালপুর জেলা প্রেস ক্লাব চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর নারী পুলিশ কল্যাণ (পুনাক) মেলা অনুষ্ঠান শীর্ষক সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় প্রায় ৪০জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্পট বকশীগঞ্জের ধানুয়াকামালপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালসহ অন্যান্য এমপি-মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ততার জন্য কয়েকজন সাংবাদিক নেতা উপস্থিত হতে পারেননি। এ ক্ষোভে এসপি ওই সাংবাদিক নেতাদের পিটিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেয়াসহ ডিজিটাল আইনে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। অবস্থান কর্মসূচীতে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ আলীর সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল ২৪ এর জামালপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন মিন্টু , জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব হোসেন, দৈনিক আজকের জামালপুর পত্রিকার সম্পাদক এম এ জলিল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি শুভ্র মেহেদী, দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, দৈনিক সচেতন কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বজলুর রহমান, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাসস জেলা প্রতিনিধি লিখন,মেলান্দহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ জামাল প্রমুখ।বাসস জেলা প্রতিনিধি লিখন,মেলান্দহ রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শাহ জামাল, প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি ফজলে এলাহী মাকাম। এসময় বক্তারা অনতিবিলম্বে জামালপুর থেকে পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহারের জন্য জানান। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।