লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার বসত ঘরে নিজ জেটাতো ভাই কামরুলের অতর্কিত হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান ৬নং কেরোয়া ইউপির ২নং ওয়ার্ডের দরগাখোলা চুন্নি মিঝি বাড়ির বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসে কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের ছেলে। অভিযুক্ত কামরুল তারই জেটা তছলিম উদ্দীন এর ছোট ছেলে।
ভূক্তভোগী মেহেদী মুঠোফোনে জানান, জমি সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জের ধরে তার ও তার বাবার অনুপস্থিতে ধারালো দেশীয় অস্র দিয়ে ঘরের দরজা, আলমিরাসহ বেশ কিছু জিনিস পত্র ভাংচুর করে জেটাতো ভাই কামরুল। তিনি জানান, ১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে তার মাকে ঘরে একা পেয়ে জেটা তছলিম উদ্দীন নিজে উপস্থিতি থেকে ছোট ছেলে কামরুলকে দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে কামরুল আমার মা মাহফুজা বেগমের উপর চওড়া হয় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। তাৎক্ষণিক তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় । খবর পেয়ে আশপাশের মানুষ ছুটে আসলে তছলিম ও তার ছেলে কামরুল পালিয়ে যায় । পরে মাহফুজাকে রায়পুর সরকারী কম্প্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান।
পরের দিন বুধবার মাহফুজা বেগম মোটামুটি স্বস্থ্য হলে নিজে বাদী হয়ে তছলিম ও তার ছেলে কামরুল কে অভিযুক্ত করে রায়পুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে এ বিষয়ে কামরুল ও তার বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে না পেয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ লেগেই ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনেক চেষ্টার পরেও সমাধান হয়নি। ঘটনার ৪-৫ দিন পূর্বে নূর মোহাম্মদ এবং তার একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত থাকায় তাদের ছুটি শেষ হয়ে যায়। তাই তারা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যায় ।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।