লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাটি ফেলে সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে মাওলানা করিম উল্ল্যাহ ও মমিন হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাওলানা করিম উল্ল্যাহ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর ভূইয়া বাড়ির মৃত.আইয়ুব আলীর ছেলে ও মমিন হোসেন একই বাড়ির মৃত. অজি উল্লাহর ছেলে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ফারহানা হক গত ১৪ মার্চ জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের আদেশ মোতাবেক ১৫ মার্চ সকালে সকল প্রকার দখল/বেদখল থেকে বিরত থাকতে উভয়পক্ষকে নোটিশ দেয় পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিমনগর মৌজার সাবেক ২৩৩ নং খতিয়ান আগত ২৭৯,৬৫৪নং খতিয়ান বিএস বুজারত ১৩৭৬ নং ডিপি ৪১৬ জন খতিয়ান জমা খারিজি ৮৮৩ নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ১৫০৯ দাগ হালে ৩৫২২ দাগ নাল বর্তমান ভিটি অন্দরে ১৬ শতাংশ ভূমির মালিক রসুলপুর ভূইয়া বাড়ির প্রবাসী জাকির হোসেন। জাকির বিদেশে থাকার সুযোগে গত ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে করিম উল্ল্যাহ ও মমিন হোসেন জোরপূর্বক ভাবে প্রবাসীর জমিতে মাটি ফেলে সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করে। প্রবাসীর স্ত্রী ফারহানা হক এতে বাধা দিলে তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয় করিম, মমিন গং রা। প্রানভয়ে ফারহানা সন্তানদের নিয়ে রামগঞ্জ শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ফারহানার ভাই বলেন,আমার ভগ্নিপতি জাকির হোসেন প্রবাসে থাকার সুযোগে জমিতে মাটি ফেলে জোরপূর্বক সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করে করিম ও মমিন। এতে বাধা দিলে তারা আমার বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রানভয়ে আমার বোন এখন রামগঞ্জে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত করিম উল্ল্যাহ ও মমিনের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এএসআই সোহাগ উদ্দিন বলেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক উভয় পক্ষেকে নির্দেশনা দিয়েছি। আদালতের আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।