লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বামনী ইউপির শিবপুর গ্রামে ইউপি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ নিজ সৎ ভাইয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া গংদের বিরুদ্ধে।
হয়রানিসহ সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বুধবার রায়পুর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরের সৎ ভাই হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া।
এসময় ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান, ইউপি আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক সামছুল হুদা ও আনার উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।
হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা তিন বিয়ে করেন। তিনি প্রথম ঘরের বড় ছেলে। তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর ১ ছেলে ও ৯ বোনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমিসহ আসে-পাসের কয়েকটি পরিবার। তারা আমার বাবা থেকে প্রাপ্য ওয়ারিশি জমি এখন পর্যন্ত আমাকে বুজায় দেয়নি। আমি সেখানে গেলে আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সনের জুলাই মাসের ৯ তারিখে রুস্তম আলী ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়ার চাচা বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার খরিদকৃত সম্পত্তি বিক্রির জন্য রফিক উল্যাহ’র কাছে একটি বায়না চুক্তি করেন। এমন খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া রফিক উল্যাহর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রফিক উল্যাহ চাঁদা না দিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং ওই সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। মামলা করলে জাহাঙ্গীর ওই মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগও করেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
মামলা তুলে না নেওয়ায় বেল্লাল ভূঁইয়াকে হয়রানি ও মানহানি করার উদ্দেশ্যে তার দখলীয় জমিতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীরের বোন জেসমিন। এই মামলার রায়ও বেল্লাল ভূঁইয়ার পক্ষে আসে। এছাড়াও গত ১বছরে বেল্লাল ভূঁইয়া সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি সহ অন্যান্য অভিযোগ এনে মামলা করলেও মামলাগুলো আদালত খারিজ করে দেয়। এর পর একই বছর ২০ সেপ্টেম্বর আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এভাবে একের পর এক মামলা দিয়ে নিজের সৎ ভাই হুমায়ুন কবির, ওয়ারিশি সম্পত্তি ক্রেতা সামছুল হুদা, আনার উল্যাহ, ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসানসহ এলাকার বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে।
ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া আমার সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতায় হেরে গিয়ে আমিসহ জাহাঙ্গীরের সৎ ভাই হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সামছুল হুদা, আনার উল্লাহ’র বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র ও অপ্রপ্রচারসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এবংকি আমাদের ক্রয়কৃত জমি জবর দখল করে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। সে এবং তার বোনদের মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয়ে অতিষ্ঠি এলাকাবাসী। ভূমিহীনদের ঘর তৈরীর জন্য রুস্তম আলী ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও তার চাচা বেল্লাল ভূঁইয়া ৮০শতাংশ জমি বিক্রির চুক্তি করে। সে ওই জমিতে মালিকানা দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) ও এসিলেন্ডকে নিয়েও মিথ্যা অপপ্রচার করে। আমরা প্রসাশনের কাছে এদের বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়াকে মুঠোফোনে কল করে না পেয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।