ইন্দুরকানীতে স্বাধীনতা দিবসে শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে দু-পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে ।
জানা যায়, ইন্দুরকানী দীর্ঘদিন যাবত বিএনপিকে দু-গ্রুপে মাঠে দেখা যায় । বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাবে কোন কর্মসূচি দিলে তারা আলাদা আলাদা পালন করেন । আবার মাঝে মাঝে একসাথেও কর্মসূচি পালন করেন ।
শনিবার জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এম ইউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আনন্দ র্যালি করে ফুলের তোরা নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির সাবেক সভাপতি আঃ লতিফ হাওলাদের কতিপয় কর্মীরা সাবেক সাধারন সম্পাদক ফায়জুল কবিরের কর্মীদের হাতে থাকা ফুলে তোরা নিয়ে আনন্দ র্যালিতে সামনে যাওয়া নিয়ে দু-পক্ষে বাকবিদন্ড শুরু হয়। পরে একপর্যায় বাকবিদন্ড শুরু হলে হাতাহাতিতে পরিনত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার ছয় বছর আগে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে পিরোজপুরের দুই নেতাকে আহবায়ক ও যুগ্না আহবায়ক করে দেয়। কিন্তু ছয় বছর হলেও তারা কোন কমিটি দিতে পারে নাই । সেই কারনে এ দু-গ্রুপে মধ্যে প্রায় এই রকম ঘটনা ঘটে ।
সাবেক সাধারন সম্পাদক ফায়জুল কবির তালুকদার জানান, বিগত কর্মসূচি একসাথে পালন করি । কিন্তু তাদের আমরা দাওয়াত দিয়েছি। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা তাদের পূর্বে পরিকল্পিত ছিল। শান্তি পূর্ন কর্মসূচী পালন করার লক্ষে আনন্দ র্যালিতে তারা হঠাৎ আমাদের ফুলের তোরা ভাঙচুর করে এবং কর্মীদের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করে ।
সাবেক সভাপতি আঃ লতিফ হাওলাদার জানান, ফুলের তোড়া নিয়ে মিছিলের সামনে যাওয়া কেন্দ্র করে ছাত্রদল-যুবদলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় । পরে আমরা একসাথে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধানিবেদন করি ।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চে শহীদ বেদিতে ফুল না দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।