লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনকে হাত করে প্রতিবন্ধী রিকসা চালক সফিক উল্যার গংদের জমি অবৈধভাবে জোরপূর্বক জবরদখলের অভিযোগ ওঠেছে বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক, আইনজীবী, সাবেক অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠানের বিরুদ্ধে ।
জমি দখলের সময় পুলিশের উপস্থিতি, মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ও সন্ত্রাসী ব্যবহর করে পুরাতন ঘর ভাংচুর, লুটপাট, গাছপালা কেটে নিয়ে যায় এবং নারীদের উপর হামলা, পুকুরে ঘাটলা, ১০০ বছরের পুরাতন চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে, জোর জবরদস্তি করে ক্রয়কৃত জমি ওয়ারিশি সম্পক্তি জবরদখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নিমার্ণ করেছে মাঈন উদ্দিন পাঠান।
এব্যাপারে পুরো জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একজন শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী হয়েও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধার জমি দখল করে পুলিশের সহায়তায়।
দখল ঠেকাতে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা কপিসহ গত ১৩ মার্চ ২০২২ ইং লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন জমির মালিক মমিন উল্যা গংরা।
জোরপূর্বক অবৈধভাবে জমি দখলের ঘটনা ঘটে ১৭ ই মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ৩ এপ্রিল, নির্মাণ কাজ চলমান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ মোবারক কলোনী আলীমুদ্দিন বেপারী বাড়িতে।
জোর, জুলুম, নির্যাতন, ভাংচুর, অবৈধভাবে জবরদখলের প্রতিবাদে ভূমিদস্যু মাঈন উদ্দিন পাঠানের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ ২০২২ ইং লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠান করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ও অত্রএলাকার শতাধিক এলাবাসি,এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মীরা ও সচেতন মহল।
মানববন্ধনে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড আলীমুদ্দিন বেপারী বাড়ির অসহায় বৃদ্ধা মমিন উল্ল্যা (৭৫) জানায়, জমি আমার ক্রয়কৃত এবং ওয়ারিশ, ৭০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। ৭৫ নং সমসেরাবাদ মৌজার ১১০৫,১১০৭ দুই দাগে মোট সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে মালিক মমিন উল্যা গংরা। তিনি ১৯৭৭ সালের ৫ জানুয়ারি সাবকবলা দলিল মূলে জালাল আহম্মেদ থেকে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যাহার বায়া দলিল ৩১ আগষ্ট ১৯৪২ ইং সনের দলিল নং ৩৫০৫। যাহার সিএস ১১, এসএ ১৫, ডিপি ১৬৭৯ বতমান ৫১৭৬ খতিয়ান এলাহি বক্সের মেয়ে সুজিয়া খাতুন, জামাতা জালাল আহম্মেদ থেকে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক হয়েছি।
এজমি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে মাঈন উদ্দিন পাঠান এবং আব্দুল লতিফ গংদের সাথে।জবরদখলের সাথে জড়িত সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার লোকজন, আলমগীর হোসেন রতন, টিটু, ফারুক, পাটোয়ারী বাড়ির স্বপন, বিদ্যুৎ বাশার, মাটিয়া সফিক ও তার বৌ, সুফিয়া বেগমসহ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাও জমি দখলে অংশ গ্রহন করেন ।
এ সম্পক্তি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট রিভিশন নং ৪৫/২০২২ ইং। বিরোধকৃত সম্পক্তিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট । পুলিশের উপস্থিতিতে মাঈন উদ্দিন পাঠান ও আব্দুল লতিফ, আবুল কাশেম, হোসেন, লিঠন গংরা, প্রায় কয়েক’শ লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে, স্কুল কলেজের ছাত্র নিয়ে অবৈধভাবে আমার জমিতে জোর জবরদস্তি করে ভোগদখলকৃত অবৈধ পন্থায় পুরাতন ঘরবাড়ি ভাংচুর করে লুটে নেয় এবং গাছপালা কেটে, ৬০ বছরের ব্যবহিত পুকুর পুকুরে ঘাটলা, চলাচলের রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ অব্যহত রয়েছে। জমি দখল নিতে আসা সন্ত্রাসীরা কয়েকজন নারীকে শ্রীলতাহানি করে এবং মারধর করে এতে দুই জন আহত হয়েছে।
২০১৬ সালে একই ব্যক্তিরা একে কায়দায় ১১০৬ দাগের ২ শতক জমি দখলে নেয় ভূমি খেকোরা।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী পরিবারের রুবি আক্তার, প্রতিবন্ধী রিকশা চালক সফিক উল্যা, সহিদা বেগম, ফাতেমা বেগম, আলেয়া বেগম, আরুফা বেগম, তারা বলে আমাদের বাপ দাদার ওয়ারিশি এবং ক্রয়কৃত সম্পক্তি ফেরৎ দেয়ার জন্য সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার ও আমাদের সম্পত্তি পূর্ণরায় উদ্ধার করে বেদখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
প্রতিবন্ধী রিকশা চালক বলেন, যে কোন মুহূর্তে মাঈন উদ্দিন পাঠান, আব্দুল লতিফ গংরা আমাদেরকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর, প্রাণে হত্যার হয়রানি করার হুমকি ধামকী দিচ্ছে।নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন বলে জানান তারা।
আমরা উল্লেখ্যকৃত ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি, দখলকৃত জমি পূর্ণ উদ্ধারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় , ভূমি মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।