লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বারের পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে পড়ে দু’টি কন্যা সন্তান রেখে পালিয়েছে মা স্বপ্না আক্তার। পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বামী গার্মেন্টসকর্মী মানিক।
অভিযুক্ত সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির হোসেন সুমন পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বপ্না আক্তারকে ঘরছাড়া করে।
এ ঘটনা স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতীক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে ভোলার উপজেলার চরফ্যাশন গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমানের কন্যা স্বপ্না আক্তার (২৮) এর সঙ্গে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মানিকের মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। তবে তাদের পরিবারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মানিক ঢাকা একজন গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে স্বপ্না আক্তারের মা নাহার বেগমও ভোলা থেকে ছুটে এসেছেন। তিনি তার মেয়ের সন্ধান চাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
মানিক এর আগে সামাজিকভাবে স্থানীয়দের কাছে মেম্বার সুমন ও তার স্ত্রী স্বপ্নার পরকীয়া বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তাতে কোনো সাড়া না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন তিনি।
এ ঘটনায় রোববার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টসকর্মী মানিক।
মানিক আরও জানায়, তার স্ত্রী স্বপ্নাকে ফিরে পেতে চান, এবং পরকীয়া অভিযুক্ত সুমন মেম্বার বিচার দাবি করেন।
নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার উদ্ধার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে মেম্বার জাকির হোসেন সুমনের ১ম স্ত্রী সালমা সুলতানা জানান, পরকীয়া প্রেমে জড়ানোর পর থেকে সুমন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন।
তবে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাকির হোসেন সুমন পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন জানায়, স্বপ্না তার স্বামী মানিকের সংসার আর করবে না।