জামালপুর জেলায় মেলান্দহ উপজেলার ১০ নং ঝাউগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাউগড়া পূর্বপাড়া মৃত শফির উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে ময়না (ছদ্ম নাম)( ৩০) কে একই গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মোদি দোকানদার হাবিল ( ৪২) ও মোঃ ঠান্ডু কবিরাজ ( ৫৫) জোর পূর্বক কয়েক দিন ধর্ষনের ঘটনা ঘটে এবং অভিযুক্ত হাবিল কে গ্রেফতার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
ধর্ষনের এক পর্যায় পাগলি ময়না অন্তঃসত্তা হয়ে যায়। গর্ভের বাচ্চা ক্রমেই বাডতে থাকলে ময়না শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জানা জানি হলে অসুস্থ ময়নাকে জেনারেল হাসপালতালে নিয়ে যায়।পরে ঐখান থেকে জামালপুরে মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসক সমস্ত কথা ও আলামত দেখে ও পরীক্ষা করে তাকে ৫/৬ মাসে অন্তঃসত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পাগলি ময়নার অন্তঃসত্তার কথাটি এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে অসহায় অন্তঃসত্তা ময়না রোগে -শোকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনৈক বলেন – আমরা আজ যা শুনছি তা আমাদের এলাকা ও মানবতাকে নিচু করে দিয়েছে। এর সুষ্ট বিচার কামনা করি।
এদিকে অভিযুক্ত হাবিল জানায়, প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে দিয়ে আমার বাড়ীর কাজ করাতাম এবং সব সময় খাবার ও টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে আসতাম। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।এ অভিযোগ মিথ্যা।
অপর অভিযুক্ত ঠান্ডু মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে।ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আন্জুমনোয়ারা হেনা বলেন-দোষী যেই হোক, আইনের আওতায় তার সুষ্ঠ করা হবে। তবে এমন অসহায় পরিবারের প্রতিবন্ধী উপর পশুসুলভ যে পাষন্ড আচারণ করেছে। তাকে আইনে আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী, সুধীমহল, মানবাধিকার সংগঠন ও সামাজিক সাংস্কৃতি সংগঠন গুলো।