লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ রুবিনা ইয়াসমিনকে লাঞ্চিত করায় প্রতিবাদের সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জেলার ডাক্তাররা। এই নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ ঘটিকার দিকে সদর মাতৃমঙ্গল হলরুমে প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় বিএমএ ও স্বাচিপ নামে ডাক্তারদের দুইটি সংগঠন। এসময় প্রতিবাদ সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা, ডাক্তারদের লাঞ্চিত করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠে সর্ব মহলে।
এসময় লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার বিএম নেতা ডাঃ আশফাকুর রহমান বলেন, ডাঃ রুবিনা ইয়াসমিনের সাথে পপি নামের একজন মহিলা ও তার ছেলের বয়স নিয়ে কথোপকথন হয়েছে। ডাঃ রোগীর বিষয়ে জানতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক, বয়স অনুযায়ী রোগীকে সেবা দিবে, মহিলা ডাক্তার-মহিলা রোগীকে প্রশ্ন করছে, এখানেতো পুরুষ ডাঃ ছিল না। পপি এক পর্যায়ে বের হয়ে যায় । প্রায় ৩০-৪০ মিনিটি পর পপি পূনরায় এসে ডাঃ রুবিনাকে এক পর্যায়ে প্রহার করার চেষ্টা করে, এসম একজন দাই নার্স ডাক্তারকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে দাইনার্স শামিমাকে আঘাত করে ঐ মহিলা। পপি বেগমের এমন আচারণে মনে হলো সে মানুষিক রোগী কিংবা সে একটা রাজনীতিক দলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ডাক্তার রুবিনাকে লাঞ্চিত করে। এসময় ডাঃ আশফাকুর রহমান আরোও বলেন, আগামী দিনে কেউ যদি কোন ডাক্তারের গায়ে হাত তোলে তাহলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সকল ডাক্তার ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আমরা আর ঘরে বসে থাকবো না।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ আফরিন সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ কবির বলেন, যে মহিলাটি ডাক্তারের সাথে খারাপ আচারণ ঘটিয়েছে। এতে প্রতিয়মান হয়েছে পূর্ব থেকে মহিলা প্রস্তুতি নিয়ে আসছে ডাক্তারের সাথে ঝামেলা করবে অথবা মহিলা অসুস্থ্য ।
এসময় স্বাচিপ নেতা ডাঃ রত্নদ্বীপাল বলেন, ডাঃ রুবিনা যে বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছেন টিকা কার্ড দিয়ে তো সন্তানের জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র হয়, তখন মায়ের বয়সের সাথে সমম্বয় থাকা আবশ্যক, কারন কাজী তো আঠারোর নিচে কাাবিন নামা করবে না। পপি বেগম উল্টো বুজে ডাক্তারের সাথে খারাপ আচারণ করেছে যা অত্যান্ত দুঃখ জনক।
ডাঃ ইসমাঈল হোসেন বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা দেওয়া হয়। তার মধ্যে কিছু রোগী হঠাৎ রেগে যায়, আবার কেউ রাজনীতির প্রভাব দেখিয়ে হুমকী ধামকী দেয়। এই জন্য অনেকের গালমন্দ সাহায্য করেও চেয়ারে বসে চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়।
এই সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ কবির, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার বিএম নেতা ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন, স্বাচিপ নেতা ডাঃ জাকির হোসেন,সদর হাসপাতালে আর এমও- ডাঃ আনোয়ার হোসেন (ডাঃ আক্তার হোসেন, ডাঃ মোর্শেদ আলম, ডাঃ নুর হোসেন, ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস রুনা, ডেন্টাল ডাঃ ইউসুফ , ডাঃ নাছিম,ডাঃ মহিব উল্যা, ডি এম পি সেক্রেটারি ডাঃ মান্নান সহ লক্ষ্মীপুর জেলার ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।