বরগুনার পাথরঘাটায় র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্প এর বিশেষ অভিযানে ১০ কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় শাড়ী পাচারের মামলায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সদস্য মোঃ জামাল হোসেন (৪৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব পটুয়াখালী কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ০৫/১০/২০২২ইং তারিখে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গত বছর ২৪/১১/২০২১ইং তারিখ কোস্টগার্ড ভোলা সদর মডেল থানাধীন তুলাতলিস্থ মেঘনা নদীর মধ্যে একটি বাল্কহেড সার্চ করলে বিপুল পরিমান প্লাস্টিক এবং পাটের বস্তাভর্তি অবৈধ ভারতীয় চোরাচালানকৃত কাপড়ের গাইট পায় যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং ভোলা জেলার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
কয়েকজন আসামী ধরা পড়লেও কিছু আসামী পলাতক ছিল।পলাতক আসামীকে ধরার জন্য র্যাবের একটি টিম দীর্ঘদিন যাবত ছায়া তদন্ত করতে থাকে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৫/১০/২০২২ ইং আনুমানিক ১৪:৪০ ঘটিকার সময় জানতে পারে যে,বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন বড় পাথরঘাটার মাষ্টার বাড়ী এলাকায় (ভোলা জেলার সদর মডেল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ ২৪/১১/২০২১ইং) প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি পাচারের মামলায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক চোরাচালন চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল আনুমানিক ১৭:৩০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ঘেরাও পূর্বক ০১জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম মোঃ জামাল হোসেন (৪৩), পিতা-মৃত নাজেম গোলদার,সাং-বড় পাথরঘাটা,থানা-পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে যে,চোরাচালানের অভিযোগে ভোলা সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ভোলা জেলার সদর মডেল থানায় (মামলা নং-৫২, তারিখ ২৪/১১/২০২১ইং) জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।