মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মওলানা ভাসানী হুজুরের মতো নেতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে যেভাবে অন্যায়, অবিচার, নিপিড়ণ, নির্যাতন, জুলুম, মানবাধিকার লংঘন বেড়ে গেছে তাতে ভাসানী হুজুরের মতো ‘খামোশ’ বলার মতো নেতা কই। বক্তারা বলেন, দেশ-বিদেশে নেতা তো অনেকেই, মওলানার মতো নেতা কই। সময় এসেছে মওলানাকে জানার, বুঝার এবং তাঁর মতো করে জনতার নেতা হয়ে নেতৃত্ব দেয়ার। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যেভাবে দেশ চলছে তাতে বাংলাদেশ সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। আমরা দেশে কোন রাজনৈতিক সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। খবর বাপসনিউজর।
আফ্রো-এশিয়া, ল্যাতিন আমেরিকার মজলুম জননেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। গত ২০ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ কাবাব কিং রেষ্টেুরেন্টের পার্টি হলে আয়োজিত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক”র সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ টিপু সুলতান। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম শিকদার সভা সঞ্চালনা করেন। এতে ভাসানী ভক্ত, অনুসারী, সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মওলানা ভাসান গবেষক, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ, কানাডা প্রবাসী ড. আবিদ বাহার। আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)-এর চেয়ারম্যান ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান সালু, ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক দেওয়ান শামসুল আরেফীন, সহ সভাপতি সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. শওকত আলী, বিশিষ্ট লেখক-ও সাংবাদিক সাঈদ তারেক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, এডভোকেট মজিবুর বহমান,সাংবাদিক ও কবি সালেম সুলেরী,লেখক ও কবি এবিএম সালেউদদদীন,বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার,সাংবাদিক ইমরান আনসারী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট রুহুল কদ্দুস, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, আহসান হাবীব, নুরুল আমীন, পারভেজ সাজ্জাদ ,লুৎফুর রহমান হেলালপ্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিকদের গুরু। তার রাজনীতি, দর্শন বুঝতে হলে তাঁকে নিয়ে আরো গবেষনার প্রয়োজন। এজন্য দেশ ও প্রবাসে আরো বেশী করে মওলানাকে জানতে ও জানাতে গবেষনার পাশাপাশি বেশী বেশী সভা-সমাবেশ, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার আয়োজনের উপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানীকে সত্যিকারার্থেই বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাঁকে ও তার আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে মওলানাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে এজন্য কাজ করতে হবে।