ইন্দুরকানীর সতেরো কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত
উন্মোচিত হয়েছে। উপজেলার টগড়া মোড় থেকে শুরু করে ইন্দুরকানী, বালিপাড়া হয়ে কল্যারণ-
সন্যাসী ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি আগে সরু ছিলো। ফলে এ পথে যাতায়াত করা যানবাহগুলো
সব সময় ঝুঁকিকে থাকতো। এমনকি প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হতো যাত্রী সাধারণ। এই
পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সড়কটি প্রশস্ত
করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। যার ফলশ্রুতিতে গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পিএমপি
মেজর প্রকল্পের আওতায় সড়কটি প্রশস্ত করার ব্যবস্থা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পূর্বের ১৮ ফুট
প্রশস্ত সড়কটির উভয় পাশে তিন ফুট করে বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে সতেরো কিলোমিটার
সড়কটি ২৪ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০১
টাকা। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী সড়কটি আনুষ্ঠনিক ভাবে উদ্বোধন করবেন পিরোজপুর-২
আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
অপরদিকে পানগুচি নদীতে কলারণ-সন্যাসী পয়েন্টের ফেরিটি পুনরায় চালুর জন্য সার্বিক ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছেন সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই ঘাটে ফেরি
চলাচল করবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার জানান, আমাদের উপজেলার প্রধান সড়কটি
পূর্বে সরু থাকায় ভারি যানবাহ চলাচলে খুব সমস্যা হতো। এখন সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় সে
সমস্যা আর নেই।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু জানান, কলারণ-সন্যাসী রুটে ফেরি
চলাচল শুরু করলে শরনখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানুষদের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে
যাতায়াতের পথ সুগম হবে। এমনকি বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছ খুব দ্রুত ঢাকায়
পৌঁছে যাবে। আর সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবস্থার ব্যপক প্রশার ঘটবে।
উল্লেখ্য, এই ফেরিটি উদ্বোধনের দিন মাত্র একবার চলাচল করে আর চলেনি। পরে ঘূর্ণিঝড়
সিডরের আঘাতে ফেরি ঘাট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। তারপর থেকে এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ
থাকে।