জামালপুর সদরে ডেপুটেশনে থাকা শামসুদ্দিন রাজাকারের পুত্র সার্ভেয়ার রহুল আমিনের অপশক্তির ব্যবহারে ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
জানা যায়- শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপেজেলা পদায়িত সার্ভেয়ার রহুল আমিন যিনি অদৃশ্য ক্ষমতা ও সু কৌশলে জোরে জামালপুর সদরে ডেপুটেশনে থেকে বীরদর্পে জমিদখল,কলহ- দাঙ্গা, যে কোন কাজে ঘোষ গ্রহন, টাকার বিনিময়ে জমি পরিমাপে কম- বেশি করণ,ভুয়া কাগজ- পত্র তৈরি ইত্যাদি করে আসছে।তার নামে ডিসি,কমিশনার, সেটেলমেন্ট অফিস,,ভুমি জরিপ রেকর্ড অধিদপ্তর, মেয়রসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা গ্রামের আলোচিত রাজাকার শামসুদ্দিন মাস্টার রহুল আমিনের পিতা। পাকবাহিনীকে সাহায্য করা, লুটতরাজ ও স্বাধীনতার বিরোধীতা করার কারণে মুক্তিযোদ্ধারা শামসুদ্দিন মাস্টারকে ধরে নিয়ে মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট স্কুল মাঠে মেরে ফেলার উদ্দ্যেশে বেধর মার ধর করেছিল। মার ধর সহ্য করতে না পেরে মাটি ও ঘাস কামড়ে খেয়েছিল বলে ঐ এলাকার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েন।প্রাণের ভিক্ষা চাইলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো।ছাড়া পেয়ে অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলো। পরিবেশ অনুকুলে আসলে এলাকায় ফিরে আদ্রা হাইস্কুলের চাকুরী নেন এবং সেখানেই লজিং থাকেন।সেই রাজাকার শামসুদ্দিন মাস্টারের ছত্রছায়া ও বুদ্ধি পরামর্শে তার জামাতা ও ছেলেদের দিয়ে জামালপুর সদরের রশিদপুরে জোর পুর্বক জমিদখল ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
রাজাকারের ছেলে রহুল আমিন সার্ভেয়াররে অপশক্তির ব্যবহার অতিষ্ঠ ভুমি সেবা নিতে আশা সাধারণ মানুষ।
সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে তাদের এই সম্পদের হিসাব গোপন করে যাচ্ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজর দারি কামনা করেছেন এলাকাবাসী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সদস্যরা।#