বরগুনার তালতলীতে হয়রানি ও চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদুল হক সোহাগ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় তার নিজ বাসভবনে এক লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদুল হক সোহাগ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তালতলী শহরে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি (ISP) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যবসা স্থাপন করি। এর কিছুদিন পর থেকে তালতলী শহরে রাহাত মীনহাজ ও প্রিন্স নামে দুজন ব্যাক্তি আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা আদায় করে আসছে। রাহাত মিনহাজ দীর্ঘদিন যাবৎ তালতলী বাজারে ছালাম ডুবুরীর ঘরে ভাড়া থেকে আসতেছে। সেই ঘরের ভাড়া টাকা আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ তারিখে নিয়ে যেত এবং প্রতিদিন তার মোটর সাইকেলের তৈল কেনার ও নাস্তা খাওয়া বাবদ ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিত। এই সময় বলতো আপনি যে ব্যবসা করেন এই আমলে তার জন্য দিতে হবে এবং বিভিন্ন প্রকার কটের হাত থেকে বাঁচতে হলে যতদিন এই ব্যবসা চলবে ততোদিন এই রকম ভাবে টাকা দিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বলত এসপি ও ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের
কাছে যাব কিছু বারমিজ পিঠা নিয়ে যেতে হবে দুই হাজার টাকা দেন। এভাবেই গত দুই বছর আমার থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।
গত আগষ্ট মাসে রাহাত এসে বলে টাকা দেন ঘর ভাড়া দিমু। তখন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়। এবং বলে তোকে দেখে নিবো। এর কিছুদিন পরে আমার ছোট ভাই রাছেলকে ডেকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় আটকিয়ে রাহাত ও প্রিন্স তাকে মারধর করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বিশ্ব নেতা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন যাহাতে আমি এর সুষ্ঠু বিচার পাইতে পারি তার সুদৃষ্টি কামনা করছি। পরে গতকাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাহাত মিনহাজ ও প্রিন্সের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে ব্যবসায়ী জাহিদুল হক সোহাগ।
শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন#
সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা)