জামাল উদ্দীন,কক্সবাজার প্রতিনিধি:
র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালীয়পাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকার জনৈক বাদশা এর বসত বাড়ীর সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ কায়ছার নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অপর এক মাদক কারবারী কৌশলে দ্রুত পলায়ন করে। গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে বসত ঘরের উত্তর পাশে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিধি মোতাবেক বসত ঘর তল্লাশী করে *সর্বমোট ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার* করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় *মোঃ কায়ছার (১৪)*, পিতা-মোঃ আমির হোসেন বাদশা, মাতা-আয়েশা ছিদ্দিকা, সাং-পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়া (বাদশার বাড়ী), ০৮নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে পলাতক আসামীর সাথে যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন পন্থায় স্থানীয় এলাকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে। অদ্য উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
৪। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।