ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি এম এ হান্নানকে মামলার নথিপত্র ছাড়াই কোর্টে হাজির করেছে পুলিশ। মামলার নথিপত্র না থাকায় আদালতে শুনানি না করে আসামি কে পুনরায় আদালতের হাজতখানায় ফেরত নেওয়া হয়। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন আরামবাগের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মতিঝিল থানার পুলিশ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং ব্যবসায়ী শিল্পপতি এমএ হান্নান কে আটক করে। মতিঝিল থানার একটি মামলায় পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় আদালত গত ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে জামিন দেন।
তবে পুলিশ তাকে পল্টন থানার একটি মামলায় কারাগারে আটক রাখার জন্য শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করে আদালতে। সেই মামলায় বিএনপি নেতা এম এ হান্নান কে কারাগারে আটক রাখার জন্য শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে কিনা এই বিষয়ে আজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ সাদীর আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ মামলার নথিপত্র জমা দিতে না পারায় বিএনপি নেতা আদালতের হাজতখানায় ফেরত নেওয়া হয়। বিকেলে মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারলে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপি নেতা এম এ হান্নান জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে তাঁর উপর চাপ ছিল। সেই চাপে তিনি মাথানত করেন নি। তাই জামিন পাওয়ার পরপরই তাকে সাজানো মামলায় জেলে আটক রাখার চেষ্টা করছে সরকার।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা এবার একতরফা নির্বাচন করে পার পাবে না। আমাকে বাহিরে রাখলেও বিপদ এবং ভেতরে রাখলেও বিপদ। আমি সর্বোচ্চ করদাতা। তাই ভেতরে রাখলে দেশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স হারাবে’।
এই বিষয়ে বিএনপি নেতা এম এ হান্নানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম জানান, ‘তার মক্কেল এম এ হান্নান দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে হয়রানি করার জন্য পুলিশ কারাগারে আটক রাখছে। পল্টন থানার যে মামলায় পুলিশ তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে হাজির করেছে, সেই মামলার নথিপত্রই আদালতে হাজির করতে পারে নাই পুলিশ।’
আদালতে বিএনপি নেতা এম এ হান্নান কে দেখতে আসেন তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং বর্তমান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনজিল হোসেন সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।