বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি ইন্দুরকানীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার

মিয়ানমার অভ্যন্তরে ব্যাপকগুলাগুলির তীব্রতা বেড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আহত -২

দেশ যুগান্তর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৭ বার দেখা হয়েছে

 

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রচণ্ড গোলাগুলির মুখে বাংলাদেশের বান্দরবানে প্রবেশ করে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি)  পুলিশের ১৪ জন  স্বশস্ত্র সদস্য।আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে তারা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

বিজিবির ৩৪ ব্যাটলিয়ন রামু, ও টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন প্রধান লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি বিজিবির সেক্টর ও বিজিবি সদর দপ্তরের জানানো  হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তমব্রু এলাকাবাসীরা শনিবার রাত থেকেই মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। অনেকেই প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এরই মধ্যে রবিবার সকালে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ছোঁড়া গুলিতে তমব্রু এলাকায় একজন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হন। সকাল ৮ টার দিকে ১৪ জন বিজিপি সদস্য তমব্রু এলাকায় প্রবেশ করে বিজিবির আশ্রয় চায়। এরপরই তাদেরকে বিজিবির তমব্রু ক্যাম্পে নিরাপদ হেফাজতে নেয় বিজিবি। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে প্রবীর ধর নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আজ সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ছোঁড়া দুটি মর্টার শেল ও একাধিক গুলি এসে পড়েছে তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে অনেকে। যদিও সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘর্ষ ও উত্তেজনায় বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানানো হয়।

ধুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে যে পরিমাণ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে আগে তেমনটা শোনা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শনিবার দিবাগত রাত ও রোববার সকালে তুমব্রুর কোনারপাড়ার ইলিয়াস হোসেনের বসতঘরের টিনে পড়েছে মর্টার শেল। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

আশরাফুল ইসলাম তুহিন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমাদের ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের উঠানে একটি মর্টার শেল এসে পড়ছে। এ ছাড়া আশপাশে আরও বেশ কিছু গুলি এসে পড়ে এলাকায়। ওপারে এখনও সংঘর্ষ চলছে। আমরা ভয়ে বাড়িঘর থেকে বের হতে পারতেছি না। কোনাপাড়া ও পশ্চিমপাড়া অনেক লোকজন সেখান থেকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে।

 

তথ্যমতে, পক্ষকাল  ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলা ও মর্টার শেল নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের লোকালয়ে এসে পড়ছে। এর আগেও মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়েছে এই এলাকায়। এ ছাড়া টেকনাফের উলুবনিয়ায় মর্টার শেল এবং উখিয়ার পালংখালীর বটতলী এলাকায় গোলার ভাঙ্গা অংশ এসে পড়ে।

এর আগেও মর্টার শেল ও গোলার অন্তত চারটি অংশ নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু, কোনারপাড়া ও পশ্চিম ঘুমধুমে এসে পড়ে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমারে এখনো প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি আমরা। এবার গোলাগুলির শব্দের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে উখিয়া এবং টেকনাফ সীমান্তে রাতে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেলেও সকাল নয়টার দিকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনতে পায় স্থানীয়রা।

স্থানীয় টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ,মাওলানা নুরআহমদআনোয়ারী বলেন,  গত মাস দেড়েক ধরে গুলাগুলির শব্দ শুনাগেলেও  গত রাত থেকে প্রচন্ডভাবে গুলা গুলির তীব্রতা বেড়ে যায়,ভারি গুলাবর্ষনের শব্দে এলাকার মানুষের রাতের ঘুম হারামও অনেক পরিবার বাংলাদেশ সীমান্তএলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়েপালিয়ে   নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিতে শোনা যাচ্ছে।

ফলে সীমান্ত এলাকায় আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমাদের সীমান্তে থেমে-থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে বরাবরের মতো রোহিঙ্গা এবং বিদ্রোহীরা যেন আমার দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।

বরাবরের মতোই সীমান্তে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

হ্নীলা  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদমাহমুদআলী বলেন,গত একমাস পূর্বথেকে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীন গুলাগুলির কথা শোনে আসলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে সেদেশে গুলাগুলি তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া গুলা ও মর্টারশেলের কিছু অংশ সীমান্তবর্তী  বিভিন্ন বাড়ি ঘরও জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে।পুরো পরিস্থিতি  পর্যালোচনা করে দেখাযায় বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষ  এখন প্রাণভয়ে দিনাতিপাত করছে।যদিও বা কোস্টগার্ড – বিজিবির  পক্ষথেকে টহল জোরদার ও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার  কথা বলাহলেও সীমান্ত জনপদের মানুষের মাঝে একঅজানা আতংক বিরাজ করছে।#

 

জামাল উদ্দীন – কক্সবাজার

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102