টেকনাফ হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে ২য় দফায় আরো ১শ জন বিজিপি সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক স্থানান্তর করা হয়েছে। গত দুইদিনে এই আশ্রয় কেন্দ্রে মায়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ১৬৪জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ৮ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যারদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া ৯৯জন বিজিপি সদস্য এবং ১জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ ১শ জনকে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপি সংলগ্ন উত্তর পাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে স্বশস্ত্র অবস্থায় মিয়ানমার বিজিপি পুলিশ ক্যাপ্টেন থিন মং উইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিপি, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৬৪জন সদস্য অনুপ্রবেশ করে স্থানীয় বিজিবির নিকট আত্নসমপর্ণ করে।
তাদের ঐদিনই সন্ধ্যায় কক্সবাজার রামু সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মেহেদী হোসাইন কবীর, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস),উপাধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলামের তদারকিতে উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। পরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মায়ানমার বিজিপির আত্নসমপর্ণকৃত ৬৪জনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ১শ ৬৪জন বিজিপি সদস্যকে আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।#
জামাল উদ্দীন – কক্সবাজার