মসজিদে যাতায়াতে রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে গেরিলা কায়দায় হামলায় কমপক্ষে ৮/১০ জন হতাহত ও ১ জনকে আটকের খরব পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মে বিকেলে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাপাশিহাটা গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির কাছ থেকে জানা যায়- হত্যা ও চুরি,ছিনতাইসহ অনেকগুলি মামলার আসামি বিবাদী শাহ আলম গং ও একই বাড়ীর ওয়ার্ড তাতীলীগের সভাপতি ওয়াসিমের পিতা নিরীহ ভ্যানচালক মকবুল(৫৮) এবং তার অন্য পরশি আত্মীয়দদের সাথে দক্ষিণ কাপাশিহাটা জামে মসজিদে প্রবেশের একমাত্র রাস্তার বিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে সমাজের লোকেরা জুম্মা নামাজ পর সালিশ বসার কথা।
নামাজ শেষ হলে যে কোন কারণে সালিশের সময়ক্ষন পরিবর্তন হলে সমাজের একজন হয়ে মকবুল মিয়া বলেন এভাবে আর কতো তারিখ পরিবর্তন হবে কাদাঁর জন্য মসজিদে যাওয়া যায়না। আমরা আজকেই এর সুরাহ চাই। দীর্ঘক্ষণ সমাজের লোকের কথাবার্তা বলে চলে গেলে মকবুল ও রাস্তায় কাঁদার কারণে শাহ আলমের বাড়ীর ভিতর দিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন এমন সময় উওপেতে থাকা শাহ আলম গংরা প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে মকবুলের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।তার ডাক চিৎকারে মকবুলকে উদ্ধার করতে এলে ইসাহাক(৬২) ওয়াসিম(৩৫) আফসার(২৭) তারা মিয়া(৪৫)সহ কমপক্ষে ৮/১০ আহত হয়। এরদের মধ্যে মকবুলের গলায় ও মাথায় দা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় জিবন মরণ সন্ধিক্ষণে জামালপুর জেনারেল হাসপাতলের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্ঝা লড়ছে। বাকী আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাদের পরশি হিল্লুল সরকার মুঠোফোনে জানান- বিবাদে কথা ও হতাহতের খবর শোনেছি।বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্ঠা চলছে।এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ওসি- মায়নুল ইসলাম জানান- মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে এবং এস আই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে বিকেল ৩টার দিকে মামলার এজহার ভুক্ত একজন আসামিকে আটক করা হয়েছে।
দেশ যুগান্তর/এইচআর