ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চর হাজিগঞ্জ বাজারে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তিনটি জুয়েলারী দোকান ও একটি বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল বজারে কর্তব্যরত চারজন নৈশ প্রহরীর হাত পা বেঁধে বণিক সমিতির অফিস কক্ষে আটকিয়ে রেখে তিনটি জুয়েলারীর দোকান ও একটি বসত বাড়ীতে ডাকাতি তান্ডব চালিয়ে মোট সাড়ে তিন লাখ নগদ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণ ও ৪শ’ ভরি রৌপ্য মিলে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুল ওহাব সহ পুলিশের চৌকষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডাকাতির কবলে ক্ষতিগ্রস্থ জুয়েলারীর দোকানগুলো হলো-উক্ত বাজারের আশা জুয়েলার্স, নিউ সুজলা জুয়েলার্স, পুস্পিতা জুয়েলার্স ও বাজারের মধ্যে তিন তলা ভবন বিশিষ্ট জুবায়ের মোল্যার বসতবাড়ী। ক্ষতিগ্রস্থ বসত বাড়ীর মালিক মোঃ যুবায়ের মোল্যা জানায়, গভীর রাত দুইটার পর শার্টার খোলার শব্দ পেয়ে তিনি বাড়ীর তিন তলা থেকে নিচে এসে ৩০/৪০ জনের ডাকাত দল দেখতে পান। এরপর ডাকাত দল তার বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে চার ভরি স্বর্নাল্কংার, ৪০ ভরি রৌপ্য ও নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কর্মকার, শ্রীকান্ত কর্মকার ও গোপীনাথ কর্মকার বলেন ডাকাতিকালে তারা কেউ দোকানে ছিলেন না। ডাকাতির খবর পেয়ে ওই রাতে ছুটে এসে দেখেন তাদের দোকানের সার্টার এর তালা কেটে এবং সিন্দুক ভেঙ্গে দোকানের সব স্বর্নালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে গেছে ডাকত দল। ওই বাজারের বনিক সমবায় সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম বেপারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশজনের ডাকাত দল আগ্নেঅস্্র সহ বাজারে ঢুকে রাত একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত লুটের রাজ্য কায়েক করেছিল। পরে মসজিদে মাইকিং করার আওয়াজ শুনে তারা ঘুলিৈ ফুটাতে ফুটাতে পদ্মা নদী পথে পালিয়ে গেছে”। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, “ দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে”#
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি