দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বরগুনা জেলা প্রতিনিধি,বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইউপি সদস্য তালুকদার মাসুদচিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার। সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসুদের অকাল মৃত্যুতে বরগুনা জুড়ে শোকের মাতম বইছে।
তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন। ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার (০২ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তালুকদার মাসুদ।আহতাবস্থায় সাংবাদিক তালুকদার মাসুদকে জিম্মি করে বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। পরে প্রশাসনের সহায়তায় সাংবাদিক মাসুদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বরগুনা ফিরে আসেন সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসউদ। ০২ মার্চ আবার অসুস্থ্যতাবোধ করলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তিনি আবার বরিশাল শের – ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসুদ সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গোড়াপদ্মা গ্রামে মৃত আবদুল ওয়াহাব মাষ্টারের ছেলে। তিনি ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পরপর দুইবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসুদ এক ভিডিও বার্তায় বলে গেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বরগুনা প্রেসক্লাবের ৩য় তলার অফিস-রুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে দৈনিক ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি কাশেম হাওলাদার, এনটিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলাম মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে তাকে। ভিডিও বার্তায় তার বুকে ঘুষি ও লাথি মারার কথা বলেছিলেন সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসুদ।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ০২ মার্চ বৈঠকের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) অসুস্থ্য সাংবাদিক তালুকদার মো: মাসউদকে ১নং আসামী করে সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা দ্রুত বিচার আইনে প্রেসক্লাবের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করেন সাধারণ সম্পাদক জাফর হাওলাদার। তবে ০৩ মার্চ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে মামলার সকল আসামীকেই জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।#
সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা)