নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ মার্চ) বামনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল মুন্সীরে উপস্থিতিতে জনপ্রতি ৮ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও চাল নিতে আসা নিরীহ ও প্রতিবন্ধী লোকজনকে মারধর ও গালমন্দ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার প্রতিবার করলে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাথে চেয়ারম্যানের গট্টগল শুর হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
জানা যায়, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বামনী ইউনিয়নে ২ হাজার ৫’শ টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও বামনী ইউনিয়নে ৮ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় বামনী ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই চেয়ারম্যান এসব কর্মকান্ড করেন।
চাল নিতে আসা সাইছা গ্রামের শ্যামল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ১০ কেজির জায়গা ৮ কেজি চাল দেওয়ার কথা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে গালমন্দ করে। পরে আমি কাঁদতে কাঁদতে চলে আসি।
প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন পাটোয়ারী বলেন, আমার ওয়ার্ডের লোকজনের চাল ওজনে কম হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার মাকে তুলে গালমন্দ করে এবং আমার হাতের কিছু কার্ড নিয়ে ছিড়ে ফেলে। তাই অনেকেই চাল না পেয়ে বাড়ীতে চলে যায়।
ট্যাগ অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১০ কেজির নিচে চাল দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। চাল কম পড়লে তা পূরণ করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা বলেন, ‘গোডাউন থেকে চাল কম দেওয়া হয় না। গোডাউন থেকে সঠিক পরিমাপ করে বুঝে নেওয়ার পরে চাল কমের অভিযোগ আমরা গ্রহণ করবো না।’
চেয়ারম্যান তোফাজ্জল মুন্সী বলেন, ‘প্রতি বস্তায় গোডাউন থেকে চাল ওজনে কম দেওয়া হয়েছে। তাই আমারা জনপ্রতি ৫০০ গ্রাম করে চাল কম দিতে বলেছি। বিশ্বাস না হলে আপনারা চালের বস্তাগুলো মেপে দেখেন। গলমন্দের বিষয়টি সঠিক নয়।’