ইদানিং সাভারের জাহাঙ্গীরনগর থেকে সি এন্ড বি এর মাঝের পথটুকু ছিনতাইকারী ও ডাকাতির আখড়া হয়ে গেছে।
স্থানীয় এবং পেশাদার ছিনতাইকারী ডাকাতরা এখানে গাছ ও ঝোপ ঝারের আড়ালে ধারালো অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি, রামদা ও বন্দুকসহ পজিশন নিয়ে থাকে সুযোগের অপেক্ষায়।
একাকি বা ধীরে চলে এমন গাড়ি বা রিকশা, অটোরিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদি দেখলেই ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সবকিছু কেড়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে দেয়। নিজের সবকিছু দিয়ে দিলেও অনেক সময় এদের ধারালো অস্ত্রের কোপের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায় না। জনসম্মুখে পড়ে গেলে দ্রুত ডেইরি ফার্ম এর বাউন্ডারি টপকে কেটে পড়ে।
নাম না বলা শর্তে একজন বলেন, জীবিকার তাগিদে এবং শখের বশে গত ২ বছরজাবত বাইসাইকেলে এ রাস্তায় আসা যাওয়া হয় আমার। আল্লাহর রহমতে কখনো কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নি। এতদিন নিজ চোখে না দেখলেও গত কয়েকদিন সরাসরি কয়েকটি দূর্ঘটনার কবলে পড়েও আল্লাহর অশেষ কৃপায় রক্ষা পাই।
ঘটনার বর্ণনা___
? প্রথম দিন : গত পরশু দিন আনুমানিক সন্ধা ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে জাহাঙ্গীরনগর রাস্তা হয়ে অফিস থেকে আসার সময় অন্য যানবাহনগুলো যানজটের কারণে বিশমাইল এলাকায় থেমে থাকায় আমি একা হয়ে পড়ি। জাহাঙ্গীরনগর এর মেইন গেইট পার হয়ে কিছুটা যেতেই আচমকাই ঝোপের আড়াল থেকে ছুরি হাতে একজন বেরিয়ে আসে এবং আমার সাইকেল বরাবর ছুরি নিয়ে দাঁড়ায়, গামছা দিয়ে মুখ এবং মাথা বাধা ছিল তার। আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি, কিন্তু আমার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসলো না। আমি যথাসম্ভব দ্রুত সাইকেল টান দেই, তখন সে দু’পাঁ সরে দাড়ালে কোনোমতে চিপা দিয়ে কেটে পড়ি। ছিনতাইকারী অপ্রস্তুত হয়ে তখন ছুরির গোড়ার দিক দিয়ে আমার পেশি তে সজোরে আঘাত করে ঝোপ এর ভিতর ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। সাইকেল স্লিপ করে কোনোমতে দ্রুত কেটে পড়ি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ছাড়া আমি সেদিন হয়তো প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।
? দ্বিতীয় দিন আগের দিনের মতো অনুরূপভাবে আজকে অফিস থেকে আসার সময় গাড়ির আড়াল থেকে খেয়াল করলাম একই যায়গায় আজকে ৭/৮ জন এর ছিনতাইকারী একদল দাড়িয়ে আছে গাছের আড়ালে। তাদেরকে আবছা আলোয় ভালো করে না তাকালে দেখা যায় না কিন্তু তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রগুলো গাড়ির লাইট এর আলোতে চিকচিক করছে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
শুধু এই জায়গাতেই না, বিশমাইল থেকে বিপিএটিসি পর্যন্ত বাস স্টপেজ গুলো বাদে সব জায়গা গুলোতে ছিনতাইকারীর উৎপাত বেড়ে চলছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো এসব এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয় এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
এ শহরে আমাদের প্রানের নিশ্চয়তা কে দেবে? আজকে আমি বেচে গিয়েছি কিন্তু আরেকজন যে বিপদে পড়বে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
হয়তো কাল আপনার পরিবারের কেউ বা আপনি ওদের বরবরতার শিকার হবেন!
জনসচেতনতায় সবাই পোস্টটি দ্রুত শেয়ার করুন এবং প্রশাসনের নজরে আসার সুযোগ করে দিন।
দেশ যুগান্তর/আরজে